খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পাশাপাশি খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। যারা এসেছিলেন তারা সবাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন, দেশের গণতন্ত্র চেয়েছি। এটাও আমরা বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় কঠিন ব্যাপার। অসম্ভব বলি নাই, কিন্তু কঠিন ব্যাপার।”
এছাড়া নির্বাচন কমিশন তাদের উপদেশগুলো সিরিয়াসলি নিয়েছে বলেও মনে করে জাফরুল্লাহ। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে কথা বলেছি। নারীদের ব্যাপারে কথা বলেছি।”
এছাড়া জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আমার মতে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারা উচিত। কেননা, ওনার মামলার ফয়সালা হয়নি। আমি সব সময় বলেছি জামিন পাওয়া ওনার অধিকার।”
এ সময় খালেদাকে জামিন দেওয়া উচিত মনে করে তিনি বলেন, “ছয় মাসের খেলা বন্ধ করা উচিত। কেননা খুনের মামলায় যার ফাঁসি হবে তিন মাস পর তাকেও জামিন দেওয়া হয়েছিল।”
এছাড়া জামায়াতের প্রসঙ্গও কমিশনের কাছে তুলে ধরেন তিনি। দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তারা দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে পারছে না।
জাফরুল্লাহ বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এই দলের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছি। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ আছে। এখানে এইভাবে এটাকে ফেলে রাখার মানে হবে না।”
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন শক্ত হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০টা জেলাতে না করে (কমিটি) ১০টা জেলায় করা যায় কি না? প্রত্যেক জেলাতে চাঁদা দেওয়া ১ হাজার সদস্য থাকতে হবে। যার মধ্যে ২০ শতাংশ নারী থাকতে হবে। এটা নিয়েও আমরা আলোচনা করছি।”
এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষে দায়িত্ব নেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসল। প্রথম ধাপের মতো এবারও আমন্ত্রণ পাওয়া বেশিরভাগ বিশিষ্টজন কমিশনে আসেননি।
এই কমিশনের প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম যারা প্রস্তাব করেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীও।
অন্যদিকে তাকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বেছে নেওয়ার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মন্তব্য করেন, “খাঁটি মানুষ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।”